শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩৯ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেক্স: ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে বড় ভাইকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে আপন ছোট ভাইয়ের বিরুদ্ধে।
শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মরদেহের ময়নাতদন্ত বরিশাল শের ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে সম্পন্ন হয়েছে।
হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার আবুল কালাম জানান, ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাতে ফিরোজ আলম (৪৭) নামে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়। তিনি ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলার চিংড়াখালী এলাকার বাসিন্দা ও পেশায় একজন রাজমিস্ত্রী।
পুলিশ ও নিহত ফিরোজের পরিবারের সূত্রে জানা গেছে, নিহত ফিরোজ আলমের ছোট ভাই রুহুল আমিন কাঁঠালিয়া গ্রামীণ ব্যাংকের এক কর্মকর্তাকে হত্যার ঘটনায় যাবজ্জীবন সাজা ভোগ করে গত বছর বাড়িতে আসেন। বাড়িতে আসার পর থেকেই জমি নিয়ে বড় ভাই ফিরোজের সঙ্গে বিরোধ চলে আসছিল তার। এ নিয়ে প্রায়ই দুই ভায়ের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ হতো। এর সূত্র ধরেই শুক্রবার রাতে দুই ভায়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ছোট ভাই রুহুল দা দিয়ে কুপিয়ে ফিরোজকে গুরুতর আহত করেন। এ সময় স্বামীকে রক্ষা করতে এগিয়ে গেলে স্ত্রী রানী বেগমও আহত হন। পরে ফিরোজকে দ্রুত উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে রাতেই তার মৃত্যু হয়।
নিহত ফিরোজের স্ত্রী রানী বেগম বলেন, একজনকে হত্যা করে যাবজ্জীবন সাজা ভোগ করেও ভালো হতে পারেননি রুহুল। তিনি বাড়িতে আসার পর থেকেই আমার স্বামী ও আমাদের সঙ্গে ঝগড়া করতেন। মেরে ফেলার হুমকিও দিয়েছিলেন রুহুল। তাকে জমি ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। তারপরেও আমাদের জমির দিকে নজর রয়েছে তার। দুই ভাইয়ের মধ্যে প্রায়ই এ নিয়ে কথা কাটাকাটি হতো। আমি আমার স্বামী হত্যার বিচার চাই।
কাঁঠালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুরাদ আলী বলেন, খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছিল। যার বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তিনি ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
এদিকে এ ঘটনায় নিহত ফিরোজের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে জানিয়ে ওসি মুরাদ বলেন, হামলাকারী নিহতের ছোট ভাই বছরখানেক আগে অপর একটি হত্যা মামলায় সাজা খেটে বের হয়েছিল। জেল থেকে বের হওয়ার পর কিছুদিন তিনি চট্টগ্রামে ছিলেন।